বর্তমানে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। অপরদিকে, বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার বার্ষিক ৩.০ মিলিয়ন মেট্রিক টন প্রসেসিং ক্ষমতা সম্পন্ন ইআরএল-এর দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সাথে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের জ্বালানী খাতে চাহিদা ও যোগানের বহুল প্রতীক্ষিত ভারসাম্য অর্জিত হবে। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব গ্যাসোলিন ও ডিজেল জ্বালানী উৎপাদন সম্ভব হবে।
১৮ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশান এবং ফ্রেঞ্চ প্রকৌশল কোম্পনী টেকনিপের মধ্যে প্রস্তাবিত ইআরএল ইউনিট-২ এর ফ্রন্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফীড)-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির অবিহিত মূল্য ধরা হয় প্রায় ৩৭১.৮১ কোটি টাকা। চুক্তির শর্ত মোতাবেক টেকনিপ ৮ মাসের মধ্যে সকল ডিজাইন এবং আনুষঙ্গিক টেকনিক্যাল ডকুমেন্ট তৈরী করবে। ১৯৬৮ সালে টেকনিপ ই ইআরএল-এর বর্তমান ইউনিটটি ডিজাইন এবং ইন্সটল করে যার বার্ষিক পরিশোধন ক্ষমতা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন।